পিরিয়ডের সময় বুকে ব্যাথা কেন হয়, এর থেকে প্রতিকারের উপায়

ব্রেস্টে বেশি ব্যথা হলে সাপোর্ট দেওয়া স্পোর্টস্ ব্রা পরুন। চা-কফি, মদ্যপান, ধূমপান, চর্বি, তেল, মশলাযুক্ত খাবার বর্জন করুন। পিরিয়ড শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ আগে থেকে এই নিয়ম মানলে ব্রেস্টের ব্যথা অনেক সময়ই বন্ধ হয়ে যায়।

ভিটামিন এবং ম্যাগনেশিয়ামে পরিপূর্ণ খাবার খান। খাবারের তালিকায় রাখুন চিনে বাদাম, পালংশাক, ভুট্টা, অলিভ অয়েল, সূর্যমুখী তেল, গাজর, কলা, ওটস্, ব্রাউন সাইস।

নিয়মিত শরীরচর্চা একান্ত প্রয়োজন।

* স্তনের মাপ অনুযায়ী ব্রা পরুন। ছোট মাপের ব্রা এড়িয়ে চলুন। ব্রেস্টে বেশি ব্যথা হলে সাপোর্ট দেওয়া স্পোর্টস্ ব্রা পরুন।শোয়ার সময়ও পরতে পারেন এক দিন।

* স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করুন যাতে চর্বি কম পুষ্টি বেশি থাকে।

* দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন তাহলে আপনার দেহে হরমোন পরিবর্তনের সমস্যা দূর হবে।

* ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি১ (থায়ামিন) এবং ভিটামিন এসব উপাদান দেহের জন্য দরকার। উপাদানসমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করা উচিত।

তবে হ্যাঁ, তা বলে সব কিছুতে গা ছাড়া ভাবও অনুচিত। এই যেমন, পিরিয়ডের আগে ব্রেস্টে ব্যথা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা থেকে তরল পদার্থ নিঃসৃত হয়।ব্রেস্টে ছোটো মাংস পিন্ডর মতো দেখা দেয়। কাজ করতে গিয়ে এমনকি ঘুমোবার সময়ও ব্রেস্টে মারাত্মক ব্যথা হয়। শুধুমাত্র একটিমাত্র ব্রেস্টই ফুলে যায় বা ব্যথা করে।

এছাড়াও পিরিয়ড অনিয়মিত হয়ে যাওয়া, অত্যাধিক মাত্রায় ক্লড, রক্তের অতিরিক্ত ফ্লো ইত্যাদি, ইন্টারকোর্সের সময় ভয়ানক ব্যথা বা রক্তপাত হওয়া ইত্যাদি কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার উপসর্গ। এগুলি ব্রেস্ট বা ওভারি ক্যান্সার, ওভারিতে সিস্ট ইত্যাদি হওয়ার লক্ষণ। এক্ষেত্রে দেরি না করে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ জরুরি।কোনও ঘরোয়া টোটকা একেবারেই প্রয়োগ করবেন না। সুস্থ থাকতে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনাও প্রয়োজন। নেশা বর্জন, অপুষ্টিকর খাবার না খাওয়া, ফাস্ট ফুড খাওয়া বন্ধ বা নিয়্ন্ত্রনে আনা, স্যানিটারি ন্যাপকিন চার-পাঁচ ঘণ্টা পর পর পরিবর্তন করা, যৌনতার সময় পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গর্ভনিরোধক ওষুধ না খাওয়া, অন্তর্বাস পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, মতো অভ্যাসগুলি ছাড়তে না পারলে শরীর পুরোপুরি সুস্থ হবে না। নিজেকে সুস্থ রাখার দায়িত্ব আপনার। এক্ষেত্রে কেউ আপনাকে সাহায্য করতে পারবে না।

মাসিকের আগে মাসিকের সময় যে হরমোনজনিত ব্যথা হয়, তা দুই স্তনেই অনুভূত হয়, চাপ চাপ ব্যথার সঙ্গে স্তন ভারী মনে হয়। দুই দিকের বগলেও ব্যথা হতে পারে। মাসিকের দুই সপ্তাহ আগে থেকেও শুরু হতে পারে, আর মাসিক শুরু হলে ব্যথার তীব্রতা কমে আসে, শেষ হয়ে গেলে ব্যথা থেমে যায়। ব্যথায় ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
তবে স্তনে সংক্রমণ বা প্রদাহ হলে ওপরের ত্বক লালচে দেখাবে, স্পর্শ করলেই ব্যথা করবে। অনেক সময় স্তনে পুঁজ জমা হয় বা ফোড়া হয়। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। পুঁজ জমা হলে শল্যচিকিৎসক তা বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। সংক্রমণ হয়েছে ভেবে নিজে থেকে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করবেন না। পুঁজ বের করার আগে অ্যান্টিবায়োটিক শুরু করলে জটিলতা বাড়তে পারে।

 

Post a Comment

0 Comments